পঞ্চগড়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন (বোদা)পঞ্চগড়, প্রতিনিধি:

Date: রবিবার, জুলাই ০৭, ২০২৪
news-banner
পঞ্চগড়ে গত সপ্তাহ ধরে বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্টি হওয়া জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে সড়কে নেমে বাঁশ ও বালুর বস্তা ফেলে অবরোধসহ বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা।

৬ জুলাই (শনিবার) দুপুরে জেলা শহরের কামাতপাড়া এলাকার পানিবন্দি মানুষ শহরের পঞ্চগড়-টুনিরহাট সড়কের বানিয়াপট্টি এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় তারা বানিয়াপট্টি ব্রিজের মুখে বাঁশ বালুর বস্তা ফেলে পানি গতিরোধ করেন। ঘণ্টা খানিকের এ অবরোধে তারা নানা অভিযোগ তোলেন।তাদের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরে এ সমস্যার সমাধান না করায় বর্ষা মৌসুমে পানিবন্দি হয়ে পড়েন পৌরসভার কামাতপাড়া এলাকার হাজারো পরিবার। ডুবে যাচ্ছে কামাতপাড়া এলাকার নিম্নাঞ্চল। পৌর কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়ে এলেও তা বাস্তবে রূপ না নেয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে। এতে করে রাস্তাঘাটে চলাচলসহ বাড়িতে বসবাস করতে বড় সমস্যায় পড়েছেন তারা। রান্না পর্যন্ত করতে পারছেন না।আরও পড়ুন: বানভাসিদের দুর্ভোগ বাড়ছে কুড়িগ্রামে

গত কয়েকদিন ধরে এমন অবস্থা চললেও কেউ তাদের খোঁজ নেয়নি বলে দাবি করেন তারা। তাই ক্ষুব্ধ মানুষ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বলে জানান তারা।

এসময় বিষয়টি অবগত হয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পঞ্চগড় পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন। চেষ্টা করেন ক্ষুব্ধ মানুষের শান্ত করার। একই সঙ্গে দ্রুত সহায়তা করার আশ্বাস দেন তিনি।

কামাতপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘টানা বৃষ্টিপাত হলেই আমরা দুর্ভোগে পড়ি। গত কয়েকদিন ধরে আমরা পানিবন্দি অবস্থায় আছি। কিন্তু জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কেউ আমাদের কোনো খোঁজ নেয়নি। তাই আমরা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি।’

ওই এলাকার বাসিন্দা জুয়েল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছরই আশ্বাস পাই। কিন্তু তা আর বাস্তবায়ন হয় না। যখনই বৃষ্টি হয় পুরো পৌরসভার পানি বানিয়াপট্টি ব্রিজের নিচ দিয়ে আমাদের এলাকায় ঢুকে পড়ে। আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়ি। গত কয়েকদিন ধরে আমরা পানিবন্দি হয়ে আছি।’

এ বিষয়ে পঞ্চগড় পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে পৌরসভার কামাতপাড়াসহ নিম্ন এলাকার কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আমরা তাদের জন্য খিচুড়ি ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছি। আসলে পৌরসভার সবচেয়ে নিচু এলাকা কামাতপাড়া। আগে তেমন বাড়ি ঘর না থাকায় পানি যাওয়ার রাস্তা ছিল। কিন্তু এখন অনেক পাকা ঘরবাড়ি হওয়ায় পানি জমে থাকছে। আরইউডিটিপি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে। এ প্রকল্পের পরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ করা হবে। এতে কামাতপাড়া এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের যন্ত্রণা লাঘব হবে।’

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষা ও আইসিটি) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, পঞ্চগড়ে এখনও বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয় নি। তবে কিছু এলাকা নিচু হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। পানিবন্দি মানুষের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Leave Your Comments