শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে তিন উপজেলার ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:

Date: শুক্রবার, অক্টোবর ০৪, ২০২৪
news-banner
টানা বর্ষণ আর ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মহারশি ও নালিতাবাড়ীর ভোগাই ও চেল্লাখালী ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কয়েক স্থানে ভেঙে গেছে নদীর বাঁধ।এতে জেলার শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।শেরপুরের তিনটি উপজেলায় এখন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার।পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন নিম্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে তথ্যে জানা গেছে।

পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করেছে ঝিনাইগাতী উপজেলা শহরে। এতে ডুবে গেছে প্রধান প্রধান সড়ক, বাজারের অলিগলি ও অফিসসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।নালিতাবাড়ী উপজেলা এবং শ্রীবরদী উপজেলার নতুন নতুন গ্রামে পানি ঢুকেছে। আকস্মিক ঢলের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।রাতভর বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলের প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রাম। জেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি চলমান থাকায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান,শেরপুরের নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর দুইপাড়ের কয়েকটি স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। সেইসঙ্গে পানিতে ডুবে গেছে শতশত ফিসারি ও পুকুর, সবজি ক্ষেত ও ধানক্ষেত। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অপরদিকে শ্রীবরদীতে ভারত থেকে নেমে আসা সোমেশ্বরী নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তবে এখনও প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধিদের কোনো সহায়তা তারা পাননি বলে জানান বন্যা দুর্গত এলাকার পানিবন্দি বাসিন্দারা।উদ্ধারের জন্য কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ঝিনাইগাতী উপজেলা টিমসহ শ্রীবরদী উপজেলা টিম এবং শেরপুর জেলার একটি টিম।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদীর নাকুগাঁও পয়েন্টে ১৭২ সেন্টিমিটার, নালিতাবাড়ি পয়েন্টে ৫৬ সেন্টিমিটার, এবং চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন,ঝিনাইগাতীর উপজেলা পরিষদসহ আশেপাশের অনেক এলাকায় পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।আমরা পরিস্থিতি পার্যবেক্ষণ করছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণের প্রস্তুতি চলছে।পরিস্থিতি খারাপ হলে জেলা প্রশাসনের কাছে আরও অতিরিক্ত খাবারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানাব।

জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান গণমাধ্যম কে জানান,জেলার তিনটি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দুর্গতদের উদ্ধারে ও শুকনো খাবার পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

Leave Your Comments