নীলফামারীর সৈয়দপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে আফজাল মনু নামে এক ব্যক্তি হামলার শিকার হয়ে তিনদিন ধরে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের সরকার পাড়া। গতকাল ০৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে মনু কেঁদে কেঁদে বলেন, আমার জন্মস্থান জেলা যশোরে, ব্রাক এনজিও তে চাকরির সুবাদে সৈয়দপুর কামারপুকুর শাখায় কর্মরত ছিলাম। সেই থেকে সপরিবারে এখানেই থাকা আর দেশে ফেরা হয়নি। এখানকার মানুষের ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছিল তাই এখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছি। সৈয়দপুর থেকে অন্যত্তরে বদলি করার কারনে চাকুরী ছেড়ে দেই। তারপর ছোট্ট একটি ব্যবসা শুরু করি তার উপার্জনে চলে আমার সংসারের খরচ। হঠাৎ করে গত ৬ সেপ্টেম্বর কামারপুকুর ইউপি গ্রামো পুলিশ ফয়সাল আমাকে মোবাইলে ফোন করে আমাকে বলে কোথায় আছেন এই মুহূর্তে ইউনিয়ন পরিষদে চলে আসেন চেয়ারম্যান আপনাকে ডাকছে। আমি বলি আমাকে চেয়ারম্যান যদি নোটিশ করে তাহলে আমি যাব! এছাড়া আমি যাবনা! তার অডিও রেকর্ডও রয়েছে আমার কাছে।তারপর আমি কামারপুকুর জামে মসজিদে আছরের নামাজ আদায় করি। নামাজ শেষে বের হওয়া মাত্র নামাজি মুসল্লিদের সামনে এলোপাতাড়ি ভাবে অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয় জন আমার দুই কানের কব্জিতে গলায় এবং চোখে আঘাত করলে আমি মাটিতে পরে যাই। সঙ্গে সঙ্গে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৬ সেপ্টেম্বর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছি। আহত আফজাল হোসেন মনু আরও বলেন, চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায়ও আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছে।বর্তমানে আমি পরিবারসহ জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি এবং আমার বিষয়টি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।সেই সাথে আমি সুস্থ হলে মামলা করার প্রস্তুুতি নিচ্ছি।
এ বিষয়ে কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সরকার এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।