মানবাতার ফেরিওয়ালা নামক মিল্টন সমাদ্দারকে নিয়ে এতো আলোচনা তা আমরা সবাই জানি ,তবে দেশে এমন অনেক মিল্টন সমাদ্দার রয়েছে যা সকলের চোখের আড়াঁলে।এমনি এক মানবাধিকার কর্মীরসন্ধান মেলেছে ; নাম জয়নাল আবেদিন ( রাজু) নিজেকে মানবাধিকার পরিচয় দিলেও তার ভিতরে নেই বিন্দু মাত্র মানবতা!মিল্টন সমাদ্দারের মতো সেও গরিব মানুষকে পুঁজি করেই চলে।তবে এটা একটু ভিন্ন ধরনের পুঁজি,,, যেমন গরিব অসহায় মানুষদের শেল্টার দিয়ে করেন অটো বানিজ্য। সারা দেশে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে যখন এতো তোলপাড়,,, সারাদিন জ্যাম,,, দুর্ঘটনা সারাতেই ট্রাফিক দের দিন পার সেখানে জয়নাল আবেদীন (রাজু) সেই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে একটা মানবাধিকার স্টিকার সংগ্রহ করে দিনের পর দিন করে যাচ্ছে চাঁদা বাজি। গতকাল তারই স্টিকার প্রাপ্ত এক অটো চালক" মবিয়ার(৫৫) নামের এক ব্যক্তির সাথে কথা হলে সে জানান "গাড়ি আমার তবে স্টিকার রাজুর, তার অনেক গুলো স্টিকার আছে অনেকের কাছে!ছবি তুলতে চাইলে, "আমার ছবি নিলে কি হবে? আমি তো টাকা দিয়েই স্টিকার নিছি"
গোপন সংবাদে জানা যায় তার গাড়ির পরিমান সাইনবোর্ড টু চাষাড়া সার্ভিস বড় অটো প্রায় ৩শত। ব্যটারি চালিত অটোরিকশা (মিশুক) প্রায় ১শত এবং প্রতি স্টিকারের মূল্য ২ হাজার টাকা। এই বিষয়ে জয়লান আবেদিন (রাজু)'র সাথে কথা বলতে গেলে তিনি মুখের ভাষার ব্যালেন্স হারিয়ে প্রথমে গালাগালি করে,তারপর বলে আমি সহ আমার সহকর্মীদের সহ প্রায় ৮০/৮৫ টা অটো রয়েছে!এবং এই অটো গুলো যাতে রাস্তায় চলতে পারে, এবং পুলিশের কোনো ঝামেলা না হয় এর জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করা আছে!তার আবেদন গ্রহণ যোগ্য হয়েছে কি না? জানতে চাইলে ;তিনি বলেন অটো তো অবৈধ তবে উর্ধতন কর্মকর্তা বিষয় টি মাথায় রাখবেন অভয় দিয়েছে"!
মাথায় রাখার বিষয়টি নিয়ে, আমরা কথা বলি ট্রাফিক বিভাগের এডমিন (করিম)সাহেবের সাথে ;তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন' চাঁদাবাজি করার জন্য ওকে কেও পারমিশন দেয়নি,আর মানবসেবা করার জন্য অটোর বানিজ্য করার বিষয়টা বুঝলাম না।তবে প্রমান পেলে ওর চাঁদাবাজি ঘুচিয়ে দিবো"।
সে মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে স্টিকার বানিজ্য করছে বলে, একটু খোঁজ নিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান এস এম নজরুল ইসলামের সাথে কথা বললে সে বলেন" সে আমাদের কোনো লোক নয়,সে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত বলে, তাকে বাতিল করা হয়েছে। এবং সেটা আমার পত্রিকা (চৌকস) এ প্রকাশ করা হয়েছে।সে কখনো মানবাধিকার কর্মী, কখনো তাতী লীগ, একেক সময় একেক পরিচয় দিয়ে থাকেন"। তার নামে বেশ কয়েকবার পত্রিকায় লিখালিখি হলেও, তার বিন্দুমাত্র ও পরিবর্তন হয় নি।এমন ভুয়া মানবাধিকার কর্মী থেকে মিল্টন সমাদ্দারের মতো,প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনায় ও হস্তক্ষেপে, নারায়ণগঞ্জের মানুষও পরিত্রাণ পেতে চায়।