১ নভেম্বর থেকে বাঙ্গালীর ঐতিহ্য নবান্ন উৎসবকে ঘিরে এ বছর কৃষকের ঘরে ঘরে আনন্দ বইছে। আগামী এক সপ্তাহ পরে বাগেরহাটের শরণখোলায় আমন ধান কাটা শুরু হবে। প্রতি বিঘা জমিতে ১৫/২০ মন ধান উৎপাদন হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হওয়ায় ও বাজার দর ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হবে বলে তারা আশা করেছেন।
সরেজমিন ঘুরে কৃষকের সাথে কথা বলে ও উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, আমন মৌসুমে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ৯ হাজার ৩’শ ১০ হেক্টর জমিতে আমন সহ বিভিন্ন জাতের ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ৮০ হেক্টর, উফশি ৫হাজার ৪’শ ২০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ৩ হাজার ৮’শ ১০ হেক্টর জমিতে আমন ফসল উৎপাদন করেছেন কৃষকরা। মাঠ জুড়ে সোনালী ফসলের সমারোহে চারিদিকে মৌ মৌ গন্ধ। এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাম্পার ফসল হয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছে। আগামী সপ্তাহে মাঠে মাঠে কর্তন শুরু হবে উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রি-১১, ব্রি-৪৯, ব্রি-৫২, ব্রি-৭৫, বিআর-২৩, বিআর-১১ সহ একাধিক প্রজাতির আমন।
উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের কৃষক আবু হানিফ, সালেক মোল্লা, রায়েন্দা ইউনিয়নের নাসির জোমাদ্দার, ধানসাগর ইউনিয়নের ইউসুফ জোমাদ্দার ও খোন্তাকাটা রইইউনিয়নের আবুল হোসেন ও কালাম মোল্লা বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণের ফলে এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। আর কয়েকদিন পরেই ধান কাটা শুরু হবে। ধানের বাজার দর ভালো থাকায় খরচ বাদে লাভবান হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে শরণখোলা উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোস্তফা মশিউল আলম বলেন, অন্য সব বছরের চেয়ে এ বছর আমনের ফলন খুব ভালো হয়েছে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও রোগ বালাই না থাকায় কৃষকরা তাদের কাঙ্খিত ফসল ঘরে তুলতে পারবে। এ বছর কৃষি অফিস থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, এ বছর শরণখোলা উপজেলায় ৯ হাজার ৩’শ ১০ হেক্টর জমিতে আমন সহ বিভিন্ন জাতের ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। বড় ধরণের কোনো দূর্যোগ না থাকায় ৪টি ইউনিয়নেই এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে আমন ধান কাটা এক সপ্তাহ পরে শুরু হবে বলে তিনি জানান।