গত ২০১৯-২১ সালের করোনা ও বর্তমানে ডেঙ্গুর চেয়েও দেশে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে বাল্য বিবাহের কারণ। দেশে অধিকাংশ এলাকায় বাল্য বিবাহের ফলে মামলা মোকদ্দমাসহ নানাবিধ সমস্যা চলে আসছে। বাল্য বিবাহের ফলে দেশে মৃত্যুর হার দিন দিন বেড়েই চলছে। বাল্য বিবাহ একটি জঘন্যতম অন্যায় বলে সাফ জানিয়ে তিনি বলেন, কোন অভিভাবক তার তার সন্তানকে মৃত্যুর মুখে ঢেলে দিতে পারে না। তাই বাল্য বিবাহ আইন প্রয়োগ করে নয়,এটি একটি অন্যায় কাজ এবং বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে। মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) সহযোগীতায় কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে বাল্য বিবাহমুক্ত করণের লক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ উপরোক্ত কথা বলেন।
নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষের সভাপতিত্বে “আমার গ্রাম আমার দায়িত্ব-শিশুর জীবন হোক বাল্য বিবাহমুক্ত” এ প্রতিপাদ্যে উক্ত আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ডিরেক্টর অপারেশন্স চন্দন জেড গমেজ। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য সেলিম রেজা,ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর সুরেশ বার্টলেট,নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার পিপিএম-সেবা গোলাম সবুর,নীলফামারী জেলা জজ পরিচালক (কমপ্লাইন্ট এন্ড ইনকোয়েরী) আশরাফুল আলম,এডমিন এন্ড ফাইন্যান্স পরিচালক কাজী আরফান আশিক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ গাজী সালাউদ্দীন,এম রবিউল ইসলাম,উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী,উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বাবু। এসময় মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক খাদেমুল মোরসালিন শাকীর,কিশোরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গ্রেনেট বাবু প্রমূখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলার সকল সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ,ইমাম,শিক্ষক,জনপ্রতিনিধি,সাংবাদিকসহ গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সদস্যবৃন্দ ও ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ এপির কর্মকর্তাবৃন্দ।
সকালে কিশোরগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজীব গ্রামে বাল্য বিবাহমুক্ত কিশোরগঞ্জ গঠনের জন্য গ্রামবাসীর উদ্যোগ ও সফলতা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় করেন অতিথিবৃন্দ।