সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বাজারজাত করনের উদ্দ্যেশ্যে খাগড়াছড়িতে মজুত করা প্রায় ৬৪ লাখ ৪৮ হাজার ৪০০ টাকার বিভিন্ন ব্রান্ডের অবৈধ সিগারেট জব্দ করেছে খাগড়াছড়ি ডিবি পুলিশ। এসময় সিগারেট পাচারের সাথে জড়িত দুইজনকে আটক করা হয়।
বুধবার (৩০ আগষ্ট) দুপুরের দিকে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) এর সার্বিক তত্বাবধান ও দিক-নির্দেশনায়, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সামসুজ্জামান এর নের্তৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার এস আই(নি:) মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, এসআই(নিঃ) উক্যমং রাখাইন, এসআই(নিঃ) নিক্সন চৌধুরী এবং ফোর্সসহ খাগড়াছড়ি সদর থানাধীন পূর্ব শান্তিপুরস্থ সাধন মাষ্টারের ভাড়া ঘরে অভিযান পরিচালনা করিয়া চোরাই পথে আনা সর্বমোট ১৪টি কার্টুনের মধ্যে
৯২৫ কার্টুন বেনসন অ্যান্ড হেজেজ, ১৯৭ কার্টুন অরিস, ৯২৮ কার্টুন স্ট্রবেরী ও ৫১০ কার্টুন মুন গ্রীন আপেল সিগারেট জব্দ করা হয়। জব্দ তালিকা মুলে চোরাই পথে নিয়ে আসা সিগারেটের মুল্য প্রায় ৬৪ লাখ ৪৮ হাজার ৪০০টাকা।
আটককৃতরা হলো, দীঘিনালার বোয়ালখালী থানা পাড়ার বাসিন্দা হরেন্দ্র লাল দেব এর ছেলে সরন দেব (৪২) ও খাগড়াছড়ি সদরের উত্তর গঞ্জপাড়ার বাসিন্দা ফুল মিয়ার ছেলে রাজু (২৩)
এঘটনায় সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধ উপায়ে বাজারজাতকরণের উদ্দেশ্যে আনা অবৈধ সিগারেট মজুত করার অপরাধে আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরে প্রস্তুতি চলছে বলে জানান খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুর রহমান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে খাগড়াছড়ি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন-অর্থ) মাহমুদা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রামগড় সার্কেল) নাজিম উদ্দিন, খাগড়াছড়ি জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সামসুজ্জামান পুলিশ সুপার কার্যালয়ের ডিআই ওয়ান মো. আনোয়ারুল ইসলাম সহ খাগড়াছড়ি জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের বিষয়ে পুলিশের অনুসন্ধান অব্যাহত আছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে আমাদের মাসব্যাপী বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে। যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদেরকে রিমান্ড এনে এ ঘটনার সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখবো। কেউ জড়িত থাকে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধীদের সাথে কোনো আপোস নয়। জব্দ তালিকা মুলে চোরাই পথে নিয়ে আসা সিগারেটের মুল্য প্রায় ৬৪ লাখ ৪৮ হাজার ৪০০টাকা বলেও জানান তিনি।