বন্দরে আ'লীগ নেতা ফারুক অধরা।পক্ষান্তরে ওসি সহ বিএনপি নেতাদের ভোজন!

স্টাফ রিপোর্টারঃ

Date: বুধবার, জানুয়ারী ০৮, ২০২৫
news-banner
 বন্দরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ২৭ নং ওয়ার্ডের একাধিক মামলার আসামী আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক অধরা।পক্ষান্তরে ওসি সহ বিএনপি নেতাদের ভোজন!

গত ৫ জানুয়ারী (রবিবার) দুপুরে বন্দরের নাসিক ২৭ নং ওয়ার্ডের কুড়িপাড়া এলাকায় ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাবেক কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ ফারুক মিয়া তার নিজ বাড়িতে খাবারের আয়োজন করে। উক্ত আয়োজনে বিএনপি নেতা সহ বন্দর থানার ওসিও উপস্থিত ছিলেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক - কমিটির সদস্য শাহিন আহাম্মেদ, বন্দর থানা বিএনপি নেতা শাহনেওয়াজ,মোঃ পণেশ সাবেক সভাপতি বন্দর থানা বিএনপি,মোঃ ফারুক ২৫ নং ওয়ার্ড সভাপতি বিএনপি, মোঃআব্দুল্লাহ, ২৪নং  সাংগঠনিক সম্পাদক বিএনপি। ২২ নংওয়ার্ড বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মোঃরাসেল সহ বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মী।

সর্বত্রই বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়!

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অংশ নেওয়া আওয়ামীলীগ নেতা ও একাধিক মামলার আসামী ফারুক এখন বিএনপি নেতা হয়ে যায়। তাই কথিত এই বিএনপি নেতার বাসভবনে ভোজনের অনুষ্ঠানে সাখাওয়াত পন্থী বিএনপি নেতা থেকে শুরু করে বন্দর থানার ওসিসহ যেন কেউ বাদ ছিলেন না।

এ ঘটনাকে ঘিরে গোটা বন্দর জুড়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করছে। প্রসঙ্গতঃ বন্দরের ২৭নং ওয়ার্ডের - কুঁড়িপাড়া এলাকার ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাবেক কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ ফারুক মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে আওয়ামীলীগের সক্রিয় রাজনীতি করে আসছিলো। বিভিন্ন দিবসসহ আওয়ামীলীগের সভা সমাবেশে সে প্রতিনিয়তই মিছিল নিয়ে যোগদান করতো। এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থীও ছিলেন তিনি।গত ৫ আগষ্ট পট পরিবর্তনের পর পরই ফারুক মিয়া বিএনপির সভা সমাবেশে অংশগ্রহণ করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ৫ - জানুয়ারী রোববার দুপুরে তার নিজ বাড়িতে ভোজনের আয়োজন করে। এ সময় বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ তারিকুল ইসলামকেও দেখা যায়। একেতো আওয়ামীলীগের নেতা তার উপরে তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় সিদ্ধিরগঞ্জসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা থাকা স্বত্ত্বেও বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জের অংশগ্রহণের বিষয়টি সর্বত্রই আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাড়িয়েছে। 
এ ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা জানান, এটা জগণ্যতম অপরাধ। যেখানে আওয়ামীলীগের শাসনামলে ফারুক আওয়ামীলীগের পদের  জন্য দৌড়ঝাপ করেছেন। তাদের সভা সমাবেশে বড় বড় মিছিল নিয়ে গিয়েছেন। আওয়ামীলীগ নেতাদের ছবি দিয়ে ব্যানার ফেস্টুন ছাপিয়ে খুঁটিতে খুঁটিতে সাঁটিয়েছেন এখন আওয়ামীলীগের সেই দোসর যদি বিএনপির জার্সি পড়ে রাজপথ চষে বেড়ায় তাহলে এমন বিএনপি না করাই ভাল। এদের কারণে এখন আর রাজনীতি করতে মন চায়না।  যুবদল নেতা একই শর্তে জানান, এটা কি করে সম্ভব। যেখানে ফারুক একজন চিহ্নিত আওয়ামীলীগ নেতা। আবার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একাধিক মামলাও রয়েছে সেখানে তার আয়োজনে বিএনপি নেতা এবং বন্দর থানার ওসি যায় কি করে। 

এব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম'র সাথে  একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Leave Your Comments