চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে শেরপুর UNO অফিস ঘেরাও

মোস্তফা আল মাসুদ, বগুড়াঃ

Date: বুধবার, জানুয়ারী ০৮, ২০২৫
news-banner
বগুড়ার শেরপুরে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকরা। মঙ্গলবার ০৭ই জানুয়ারি বারোটার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে ঘন্টাব্যাপি ওই কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় মহাসড়কের উভয়পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে দূরপাল্লাগামী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন অটোরিকশা চালক জানান, বিগত ০৫আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটে। এরপর এই উপজেলায় চলাচলকারি প্রায় চার হাজার অটোরিকশা থেকে চাঁদা আদায় বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া অন্যান্য পরিবহন থেকেও চাঁদা আদায় বন্ধ হয়। ফলে পরিবহন চালকদের মধ্যে স্বস্থি ফিরে আসে। এভাবে সাড়ে চার মাস চাঁদা আদায় বন্ধ থাকে। কিন্তু বর্তমানে এই সেক্টরটি হাত বদল হয়ে গেছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ওই সেক্টরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিগত ১৯ ডিসেম্বর থেকে আবারো প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা চাঁদা আদায় শুরু করেছেন। এতে করে চালকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ফলে এই চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদা বন্ধের দাবি জানিয়ে ইউএনও অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন বলে জানান। ভুক্তভোগী ইলিয়াস হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার অভাবের সংসার। তাই কোনো উপায় অন্ত না দেখে পেটের দায়ে ভাড়া নিয়ে অটোরিকশা চালাই। কিন্তু রাস্তায় নামলেই প্রতিদিন চল্লিশ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। এটি আমাদের ওপর বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাঁদাবাজদের নিকট থেকে মুক্তি চান বলে মন্তব্য করেন তিনি। হোসেন আলী নামের এক অটোরিকশা চালক বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর দীর্ঘ সময় পরিবহন থেকে চাঁদা আদায় বন্ধ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আবার এই চাঁদা আদায় শুরু হওয়ায় অনেক কষ্ট পেয়েছি। তাই প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছি। চাঁদা আদায় বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ আর আন্দোল চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশিক খান এ প্রসঙ্গে বলেন, পৌরসভা থেকে টার্মিনাল ইজারা দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রতি অটোরিকশার জন্য দশ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আর কোনো টাকা নেওয়ার  সুযোগ নেই। বাড়তি টাকা নেওয়া হলে আইন অনুুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Leave Your Comments