দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল ভূগর্ভস্থ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কারনে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন। ক্ষতিপূরণ না পেয়ে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের বাসিন্দারা। এরই ধারাবাহিকতায় খনি এলাকার বাঁশপুকুর কাজীপাড়া ও চৌহাটি গ্রামের বাসিন্দারা লাঠি মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় খনির পূর্ব পাশে ৯নং হামিদপুর ইউনিয়নের হামিদপুর মোড়ে এই লাঠি মিছিল করেন তারা। মূল মালিকদের কাছ থেকে সরাসরি জমি অধিগ্রহণ, অধিগ্রহণ সম্পন্ন না করা পর্যন্ত জমিতে কোন রকম জরিপ, স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ ও ক্ষতিপুরনসহ ৫দফা দাবিতে এই লাঠি মিছিল করেন গ্রামবাসীরা। চৌহাটি ও বাঁশপুকুর গ্রামের কয়েকশ বাসিন্দা লাঠি হাতে বাঁশপুকুর কাজিপাড়া থেকে মিছিল নিয়ে হামিদপুর, চৌহাটি প্রদক্ষিণ করে চৌহাটি গ্রামে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
কৃষি ও বসতবাড়ী রক্ষা কমিটি এবং জীবন ও বসতভিটা রক্ষা কমিটির যৌথ আয়োজনে এ কর্মসূচী পালন করা হয়। এতে দুটি গ্রামের শত শত নারী পুরুষ লাঠি হাতে অংশ নেন।
বিক্ষেভ সমাবেশে কৃষি ও বসতবাড়ী রক্ষা কমিটির সহ-সভাপতি মাহমুদুন্নবী মিলনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কৃষি ও বসতবাড়ী রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালমান মাহমুদ, জীবন ও বসতভিটা রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম তানজিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম মিলন পারভেজ প্রমুখ।
গ্রামবাসীরা জানান, ৫ দফা দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তারা। দাবি গুলো মধ্যে রয়েছে, ভূগর্ভে কয়লা তোলার সময় বিস্ফোরক ব্যবহারের কারণে সকল ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি ঘরের ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রাস্তাঘাট মেরামত, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বেকার ছেলেমেয়েদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরি প্রদান, সিআরএস ফান্ড থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সুপেয় পানির সংকট দূর করা। তারা আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বহিরাগতদের অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করতে হবে, জমির মূল মালিকদের সাথে আলোচনা করতে হবে, সেইসাথে জমি অধিগ্রহণে খনি কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণ বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।