নারায়ণগঞ্জে অপ-সাংবাদিকতার আরেক নাম মনির। কে এই মনির? জানা যায় বিগত ১ যুগ আগে ডাইকং ব্যাবসা,এবং তেল চোরের সেন্টিগ্রেডের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো এই মনিরের, একে একে যখন কিছু চোর কে আইনের আওয়াতায় আনা হলো তখন পরিচিত একজনের মাধ্যমে একটি সাংবাদিকের কার্ড পায় সে, এর পর থেকে কখনো ম্যাজিস্টেড এর ভয় দেখিয়ে কখনো অনুষ্ঠানের কথা বলে শহরের সীনহা গার্মেন্টস , এবলম গার্মেন্টস,সাইনবোর্ডের প্যান্ট কারখানা,সহ এমন কোনো আনাচ কানাচ নেই, যেখান থেকে সে চাঁদাবাজি করেনি।সংবাদে সে সক্রিয় না থাকলেও নারায়ণগঞ্জ কোর্ট প্রাঙ্গনেই তার চাঁদাবাজের আস্থানা গড়ে তুলেছে। একজন ভুক্তভোগী বি আর টি এর কর্মকর্তা সুমন বলেন আমাদের এখানে যারাই লাইসেন্স করে আসে বা আবেদন করতে আসে তাকে দিতে হবে নগদ ১শত টাকা চাঁদা। চাদাঁ না দিলেই বলে আরো সাংবাদিক নিয়ে আসবো। অপরদিকে সাইনবোর্ড সংলগ্ন এক কম্পানির মালিক রমজান আলি জানায় কদিন পর পরি এই মনির আসে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকে টাকা না দেওয়া পযন্ত। টাকা দেওয়ার সাথে সাথে চলে যায়।অপরদিকে যাত্রাবাড়ীতে গড়ে উঠা আবাসিক হোটেল গুলোতেও তাকে দেখা গেছে অনেকবার।কে এই মনির জানতে চাইলে শহরের প্রফেশনাল সাংবাদিক গুলোই তাকে চিনে না বলে জানায়।সে কোন পত্রিকায় কাজ করে জানতে চাইলে সে কখনো দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকা,কখনো তরুণকন্ঠ আবার কখনো দূর্নীতির রিপোর্টের পরিচয় দেয়। রমজান মাসে, অফিস বিহীন ভাসমান সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারির পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে ইফতার পার্টির আয়োজন এর কথা বলে বেশ মোটা অংকের চাঁদা তুলে এই মনির। এবং আওয়ামী লীগের কিছু পাতি নেতা সোহেল,জামালের সাথে সব সময় রাখতো বেশ সখ্যতা। সেই ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন শাহাদাত হোসেন সাজনুকে প্রধান অতিথি করে তার সাথে ছবি তুলে, সেই ছবি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদা না দিলে সাজনু ভাইকে কল দিব! এটা বলে আতঙ্ক ছড়াতো সকলের মাঝে।শুধু তাই নয় প্রশাসনের সাথে থাকা তার ছবি দিয়েও করতো চাঁদাবাজি।শহরের বিভিন্ন দেহ ব্যবসায়ী নারীদের সাথে তার উঠাবসা,সেই নারিদের দিয়ে কাস্টমার এনে ফ্ল্যাটে ডুকাতো সে অতঃপর মনির, জামাল,ফারুক, সোহেল এদের নিয়ে প্রবেশ করতো ফ্লাইটে তাদের দিয়ে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে ছেড়ে দিত তাদের। ২০১৯ সালে তার বাই নামে দূর্নীতির রিপোর্টে প্রকাশিত একটি সংবাদ কে পুঁজি করে এখনো দাবিয়ে বেড়ায় শহর জুড়ে। এবং নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেয়।নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও তার নামে নেই কোনো সংবাদ। ইসদাইর এলাকার একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন তাকে সন্ধ্যা হলেই দেখা যায় সস্থাপুর মাঝারে ভিতরে ডুকে গাঁজার আসরে বসতে।আবার কোনো কোনো দরবার নামক মাদকের স্পটে তাদের যাতায়াত । এসব নামধারী সাংবাদিকের খবর একাধিক বার তালাশে প্রকাশ হওয়ার পরেও তারা রয়েছে দৃশ্যমান। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ অতি জরুরি কামনা করছে এদের হাতে জিম্মি থাকা সাধারণ জনগন।