মদনপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই যুবককে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে।
গত সোমবার বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকায় আমজাদ হোসেনের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন বন্দর উপজেলার ২৭নং ওয়ার্ডের ফুলহর এলাকার আশ্রাফ উদ্দিনের ছেলে আপেল মাহমুদ, একই এলাকার হাবিব মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন। আহতদের উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় বন্দর থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত আপেল মাহমুদ ২৭নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন, মদনপুর ফুলহর এলাকায় মৃত হানিফ মিয়ার ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান অহিদ, মৃত মান্নান মিয়ার ছেলে আফজাল হোসেন, মৃত সোনা মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান ও তার ছেলে আবির, চঞ্চল, মিজান মিয়ার ছেলে ইয়াছিন, সোনারগাঁ থানার কাচপুর ললাটি এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে নোমান,নফুলহর এলাকার অহিদ মিয়ার ছেলে আল আমিন, সোনারঁগা কাজিরগাঁও এলাকার মৃত তোতা মিয়ার ছেলে বদু মিয়া।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকায় আমজাদ হোসেনের বাড়ির সামনে দিয়ে এস এম আপেল মারুফ ও বিল্লাল হোসেন বাড়িতে আসার পথে উল্লেখিত বিবাদীরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে যুবলীগ নেতা ওয়াহিদের নির্দেশে পথরোধ করে লোহার রড, কাঠের ডাসা, ধারালো রামদা, ধারালো ছুরি, ধারালো চাপাতি নিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। একপর্যায়ে ১ নং বিবাদীর হুকুমে ৭ নং বিবাদীর হাতে থাকা ধারালো রামদা আপেল মাহমুদকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিলে ডান হাতের কব্জিতে কোপ লেগে রক্তাক্ত কাটা জখম হয়। ৫ নং বিবাদীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে ডান হাতের বাহুতে এবং কনুইয়ের নিচে গুরুতর হাড়ভাঙ্গা জখম করে। ২নং বিবাদীর হুকুমে ৬নং বিবাদীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে ডান পায়ের হাটুর নিচে পিটিয়ে গুরুতর হাড়ভাঙ্গা জখম করে। ৩নং বিবাদীর হুকুমে ৮নং বিবাদী তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে বাম পায়ের টাকনুতে পিটিয়ে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। আপেল মাহমুদ বাঁচতে সঙ্গে থাকা বিল্লাল হোসেন এগিয়ে আসলে ১নং বিবাদীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করলে বাম হাতের আঙ্গুলে লেগে হাড়ভাঙ্গা জখম করে। তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সকল বিবাদীরা তাদের পরিবারের লোকজনদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে চলে যায়। পরে লোকজন উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।